ফিশিং কি? কি কাজে লাগে? কিভাবে বানায়?

সকল প্রশ্নের উত্তর দিবো?

ফিশিং হলো এমন একটা প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কারো যে কোনো একাউন্ট হ্যাক করা সম্ভব।

ফিশিং কি কাজে লাগে এটা হয়তো বুঝেই গেছেন, ফিশিং তৈরি করে ফেসবুক একাউন্ট থেকে শুরু করে ব্যাংক ব্যালান্স পর্যন্ত হ্যাক করা সম্ভব। কিন্তু এগুলো দণ্ডনীয় অপরাধ । তাই সতর্ক।

এখন কথা হলো কিভাবে তৈরি করে ? আপনি কি জানেন, কম্পিউটারে বসে এত খাটাখাটুনির চেয়ে এমনিতেই বড় হ্যাকার হওয়া যায়। এখন বলবেন কিভাবে? আচ্ছা তাহলে বলছি, আপনি যদি আপনার বন্ধুর কাছে পাসওয়ার্ড চান সে কিন্তু দিবে না, কিন্তু যদি বুদ্ধি খাটান, সেই আপনাকে পাসওয়ার্ড দিবে। এখন কথা হলো কিভাবে দিবে, আপনি যাকে টারগেট করবেন, তার সাথে খুব গভীরভাবে মিশে যান, হোক সেটা ফেসবুকে, ইনবক্সে কথা বলুন, কমেন্ট করুন, ইত্যাদি। তাহলে আপনি জানতে পারবেন তার সম্পর্কে, আপনার সেটাই দরকার, এই যুগে তথ্যই হলো অমূল্য সম্পদ। তার কি ভালো লাগে, কি খারাপ লাগে যখন জানতে পারবেন, তখন ই ফিশিং বানালে কাজে লাগবে, এখন যদি শুধু ফিশিং নিলেন আর লিংক কপি করে করে দিলেন, কেও ঢুকবে না, ঢুকলেও সঠিক তথ্য না দিয়ে গালি বা ভুল তথ্য দিবে। আপনি কি জানেন, মানুষ আসল বন্ধুবান্ধবদের চেয়ে অনলাইনে মানুষদের উপর সহজেই ভরসা করে ফেলে। আর হ্যাকার রা এভাবেই ফায়দা উঠায়। আশাকরি আমি কি বুঝাতে চেয়েছি বুঝেছেন। নিচে একটা ছোটো গল্পের মাধ্যমে জানাই তাহলে,

রহিম কম দামে মোবাইল কিনতে খুব পছন্দ করে, করিম ব্যাপারটা জানলো,করিম তার ফেসবুক আইডি হ্যাক করার চিন্তা ভাবনা করছে,করিম তখন কি করলো, একটা মোবাইল বিক্রির ফেক ওয়েবসাইট তৈরি করলো, এখন অর্ডার দিবে, সেজন্য তাকে একটা একাউন্ট খুলতে হবে,একাউন্ট খুললে ১০% ছাড়ে মোবাইল কিনতে পাবে, এই লিখে বিজ্ঞপ্তি দিলো, তারপর একাউন্ট খুলার সময় ফেসবুক দিয়ে লগইন করতে বললো, সে না বুঝে লগইন করে দিলো, তারপর সে অন্য কিছু দেখতে থাকলো, ওর ফেসবুক আইডি হ্যাক হইয়া গেলো, এটা কোনো ঘটনা নয়, আমার বানানো একটি কাল্পনিক গল্প মাত্র। তবে এই ধরনের কাজ করতে পারলেই হ্যাক করা সম্ভব। আর এটাই হলো আসল ফিশিং